ভবিষ্যৎ তহবিলের অর্থ পরিশোধের নিয়ম:::
যেকোন ভবিষ্যৎ তহবিলের অর্থ পরিশোধের প্রশ্ন তখনই আসে যখন কোন কর্মী প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন বা ভবিষ্যৎ তহবিলে তাহার সদস্যপদ বাতিল করতে চান।
বাংলাদেশে শ্রম বিধিমালার বিধি-২৬৫ অনুযায়ী ভবিষ্যৎ তহবিলের অর্থ পরিশোধের কিছু নিদিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
কিন্তু আমাদের দেশের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান উক্ত নিয়ম কানুন অনুসারণ করে না।
যেহেতু আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ তহবিল গঠনের ক্ষেত্রে শ্রম আইনের নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।
অতএব, শ্রম বিধিমালার বিধি-২৬৫ এর নিন্ম উল্লেখিত বিধিসমূহ অনুসরণ করতে হবে :-
১। অর্থ প্রাপ্তিতে আগ্রহী ব্যক্তিকে বোর্ডের নিকট লিখিত আবেদন করিতে হইবে।
২। প্রদেয় অর্থের কোন অংশের ব্যপারে কোন বিরোধ থাকলে তা যত শীঘ্র সম্ভব নিষ্পত্তি করিবে।
৩। যে ব্যক্তিকে অর্থ প্রদেয় হয় তাহাকে প্রদানের জন্য প্রদত্ত অর্থের পরিমান নিদিষ্ট করিয়া একটি লিখিত নোটিশ প্রদান করিবেন।
৪। অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির ইচ্ছানুযায়ী মানি অর্ডারযোগে বা রেজিস্টাকৃত ডাকযোগে প্রেরিত ক্রশ চেকের মাধ্যমে অথবা প্রাপ্তি স্বীকারপূর্বক হাতে হাতে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করা যাইবে।
*প্রশ্ন হল নগদ টাকা দেয়া যাবে কি না?-না, দেয়া যাবে না।
*দিলে কি হবে?-আইন না মানলে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তাদের অনুমোদন বাতিল করতে পারে।
এছাড়াও শ্রম অধিদপ্তর বা কাল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের জমাকৃত রিপোর্টে আইনের লঘন দেখলে,শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন।