শ্রম আইনের ধারা:২(৬৫) অনুযায়ী প্রশাসনিক,ব্যবস্থাপনামূলক এবং তদারকি কর্মকতা ব্যতিত সকলেই শ্রমিক।সবার মধ্যে একটা ধারনা বিরাজমান যে এই তিন প্রকৃতির কর্মীগন শ্রমিক নয়।ধারনাটা ২০১৫ সালের আগে নেহায়েত সঠিক ছিল;
কিন্ত শ্রম বিধিমালাতে ব্যবস্থাপনামূলক,প্রশাসনিক এবং তদারকি কর্মকতাগনের সংজ্ঞার মাধ্যমে এই তিন প্রকৃতির কর্মী কাদেরকে বলা হবে। সে বিষয়ে পরিস্কার ধারনা প্রদান করা হয়েছে।
শ্রম বিধিমালার বিধিঃ- ২(ছ) এবং (ঞ) অনুযায়ী,
"মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি"
"যিনি প্রতিষ্ঠানের কোন শাখার কাজ বা সেবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন,কাজের পরিধি নিয়ন্ত্রন,বাস্তবায়ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন,কাজের মূল্যায়ন বা পর্যালোচনা,শ্রমিকদের দিক নির্দেশনা প্রদান বা তদারকি করেন।"
দুটি বিষয় লক্ষ্য করেন;
১. মালিকে লিখিতভাবে ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
২. নিচের অংশে যতগুলো কাজের কথা বলা আছে সবগুলো কাজ তাকে করতে হবে, এখানে একটা বা দুইটা কাজ করলে তিনি তদারকি কর্মকতা হিসাবে বিবেচিত হবেন না।
প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলা হবে তাকে;
যিনি মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে নিন্মোক্ত সকল কাজের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন; "প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগ,বেতন ও ভাতাদি নির্ধারন চাকরির অবসান বা চাকুরী হইতে অপসারন,চুড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যয় অনুমোদন বা নিয়ন্ত্রন"
এখানেও লক্ষ্যনীয় বিষয় যে সব কাজগুলো করার ক্ষমতা লিখিতভাবে দিতে হবে এবং সব কাজগুলো যে ব্যক্তি করবেন তিনিই প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনামূলক কর্মকতা হিসাবে বিবেচিত হবেন।
এবার একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবেন যে আপনার প্রতিষ্ঠানে ২ বা ৩ জনের বেশি লোক নাই যারা উক্ত কাজগুলো করেন।
আপনি পে-রোল দেখেন কিন্ত আপনি আর কিছু করেন না।