বাসৎরিক অর্জিত ছুটির টাকা

বাসৎরিক অর্জিত ছুটির টাকা নগদায়নের নিয়ম::::

শ্রম আইনের ধারা-১১ তে বলা আছে যদি কোন শ্রমিকের কোন অর্জিত ছুটি অভোগকৃত থাকে, তবে উক্ত অভোগকৃত ছুটির বিপরীতে মজুরী প্রদান করিতে হবে।

এছাড়াও ২০১৫ সালের শ্রম বিধিমালার বিধি-১০৭ এ বলা আছে কর্মী চাইলে ছুটির বিনিময়ে অর্থ গ্রহন করতে পারবে।

ছুটির টাকা নগদায়নের ক্ষেএে যে সমস্যাটির সম্মুখীন অনেকে হয়ে থাকেন তা হল অভোগকৃত ছুটির মজুরী গননার নিয়ম নিয়ে।

ছুটি নগদায়নের ক্ষেএে মজুরী হিসাবের নিয়ম:

১.যে মাসে ছুটির টাকা নগদায়ন করবেন ঠিক তার আগের মাসের বোনাস ও ওভার টাইমের মজুরী ব্যতীত মোট মজুরীকে ভাগ দিতে হবে, আগের মাসের উপস্থিতির দিনগুলো দিয়ে। এরপরে যে ভাগফল পাওয়া যাবে তাকে আবার গুন করতে হবে, যে ছুটির দিনগুলো নগদায়ন করতে চায় তার মোট সংখ্যা দিয়ে।

২.যে মাসে ছুটির টাকা নগদায়ন করবেন ঠিক তার আগের মাসের বোনাস ও ওভার টাইমের মজুরী ব্যতীত মোট মজুরীকে ভাগ দিতে হবে, ৩০ দিয়ে এবং এরপর যে ভাগফল পাওয়া যাবে তাকে আবার গুন করতে হবে, যে ছুটির দিনগুলো নগদায়ন করতে চায় তার মোট সংখ্যা দিয়ে।

অনেকেই প্রায়শই জানাতে চান যে মূল মজুরী না গড় মজুরী হারে দিতে হবে। একটা বিষয় বলি গড় বা মূল মজুরী কোন বিষয় নয়।

আরও দুটি বিষয় বলি:-

১. মোট বাসৎরিক ছুটির অর্ধেকের বেশি নগদায়ন করা যাবে না।

২. প্রতিবছরে মাএ একবার নগদায়ন করা যাবে।


বাৎসরিক অব্যয়িত অর্জিত ছুটিঃ
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১১৭ ও বাংলাদেশ শ্রম বিধি ২০১৫ এর বিধি ১০৭(১) –এর মোতাবেক – অর্জিত ছুটি গণনার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১২ (বারো ) মাসে প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের কাজে উপস্থিতির দিনগুলো গণ্য করতে হবে এবং প্রতি ১৮ (আঠারো) দিনের বিপরীতে এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রতি ১৫(পনের) দিনের বিপরীতে ১ দিন ছুটি অর্জিত পাবে (চা বাগান ও সংবাদপত্র শ্রমিক ব্যতীত)
১ বছর (৩৬৫ দিন) হতে স্বাপ্তাহিক ছুটি, ভোগকৃত নৈমিত্তিক ছুটি ও চিকিৎসা ছুটি, উৎসব ছুটি, বিশেষ ছুটি, বিনা বেতনে ছুটি বা অনুপস্থিতির দিনগুলো বাদ দিতে হবে। শুধুমাত্র কাজে উপস্থিতির দিন সমূহকে ১৮ দ্বারা ভাগ করে অর্জিত ছুটি গণনা করতে হবে।
শ্রমবিধি ২০১৫ এর ধারা ১০৭ (২) মোতাবেক শ্রমিক চাইলে প্রাপ্ত ছুটির সর্বোচ্চ অর্ধেক ছুটি নগদায়ন করতে পারবেন। অর্ধেকের বেশি নগদায়ন করা যাবেনা। কর্তৃপক্ষ ছুটি নগদায়নের জন্য কোন শ্রমিককে বাধ্য করতে পারবেন না। যদি উক্ত ছুটি নগদায়নের পর অভোগকৃত থাকে তবে তা পরবর্তী বছরের অর্জিত ছুটির সাথে যোগ হবে, তবে ৪০ দিনের বেশি অর্জিত ছুটি জমা করা যাবে না (শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১১৭ উপধারা ৪ ও ৫)। অর্জিত ছুটি বছরে একবার নগদায়ন করা যাবে (শ্রম বিধি ২০১৫ বিধি ১০৭(২) এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি লক্ষ্যনীয়। উক্ত ছুটি ভোগের ক্ষেত্রে শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১০ অনুযায়ী শ্রমিককে আবেদন করতে হবে ।যদি আবেদনকৃত ছুটির মধ্যবর্তী সময়ে অন্য যে কোন ছুটি ও অর্জিত ছুটি হিসাবেই গন্য হবে । (শ্রম বিধি ২০১৫ বিধি ১০৭(৩) অনুযায়ী কোন শ্রমিক তার মজুরীসহ ছুটি পাওনা থাকা অবস্থায় মারা গেলে, তার ছুটি বাবদ মজুরি তার মনোনীত বা আইনগত উত্তরাধিকে পরিশোধ করতে হবে।

I BUILT MY SITE FOR FREE USING