২২। (১) কোন শ্রমিককে, কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়িত, শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে চাকুরী হইতে ডিসচার্জ করা যাইবে।
(২) ডিসচার্জকৃত কোন শ্রমিক অনূ্যন এক বৎসর অবিচ্ছিন্ন চাকুরী সম্পূর্ণ করিলে তাহাকে মালিক তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচ্যুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ডিসচার্জ (Discharge):::
বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী একজন কর্মীকে তিনটি কারনে ডিসচার্জ করা যাবে।
১. শারীরিক অক্ষমতা।
২. মানসিক অক্ষমতা।
৩. অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্য।
যদি কোন ডাক্তার উক্ত তিনটি কারনের মধ্যে একটির জন্য কোন কর্মীকে কাজে অক্ষম বলে সনদ প্রদান করেন তবে তাকে শ্রম আইনের ধারা-২২ অনুযায়ী ডিসচার্জ করা যাবে।
তবে উক্ত ডাক্তারের সনদের বিষয়ে যদি মালিক বা শ্রমিক অসন্তুষ্ট হয়, তবে সনদ প্রদানের ১০ দিনের মধ্যে মালিক বা শ্রমিক নিজ খরচে যেকোন সরকারী মেডিকেল কলেজের কমপক্ষে সহকারী অধ্যাপক সমমানের একজন বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করাবেন এবং তিনি যদি একই মত পোষণ করেন।
তবে উক্ত কর্মীকে ডিসচার্জ করা যাবে,যদি তিনি পূর্ববতী ডাক্তারের সাথে অক্ষমতার বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন,তবে উক্ত কর্মীকে ডিসচার্জ করা যাবে না।
কোন কর্মীকে ডিসচার্জ করার জন্য অগ্রিম কোন নোটিশের প্রয়োজন নেই।তবে প্রতিবছর কাজের জন্য একটি করে বেসিক প্রদান করতে হবে।